নিয়োগ মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের মামলা পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। এখনই জামিন পাচ্ছেন না তিনি। শীর্ষ আদালতে তিন সপ্তাহ পরে তাঁর মামলার শুনানি হবে।
শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জামিনের আবেদন নিয়ে তিনি প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে জীবনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার পরেই জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে জীবনকৃষ্ণের মামলা গ্রহণ করে সিবিআইকে নোটিস দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরে বুধবার শুনানি পিছিয়ে গেল।
নিয়োগ মামলার সূত্রে গত ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের আন্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। একই সঙ্গে জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। অভিযোগ, সেই জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির ফাঁকে তাঁর ব্যবহার করা দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে একটি পুকুরের জলে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পুকুরের জল ছেঁচে ফেলতে হয় সিবিআইকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পরে ১৭ এপিল মাঝরাতে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আন্দির বাড়িতে গিয়ে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই বিচারাধীন বন্দি অবস্থায় রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।