কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভূপতিনগর থানায় দায়ের করা অভিযোগের তদন্তের উপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি অবধি রাজ্য পুলিশের তদন্তের স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। আগে এই মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, এনআইএ আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এ বার ভূপতিনগর থানার পুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পরের শুনানি ১৬ জানুয়ারি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর আইনজীবী অরুণকুমার মোহান্তি ও ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মনোব্রত জানার স্ত্রী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভূপতিনগর থানায় নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, অভিযুক্তেরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এনআইএ আধিকারিকদের উপরে হামলার অভিযোগের পর্যাপ্ত ধারা পর্যন্ত দেয়নি পুলিশ। উল্টে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর কথায় গুরুতর ধারা দিয়ে ভূপতিনগর থানার পুলিশই মামলা দায়ের করে।এনআইএ-র তরফে আইনজীবীরা আদালতে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানান। আগের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে, নির্যাতনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের কেস ডায়েরি ও মেডিক্যাল রিপোর্টে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। সেই শুনানিতে এনআইএ আধিকারিকদের গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। তিন জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তের স্বার্থে এ বছরের ৬ এপ্রিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকদের সংঘাত বাধে। ভূপতিনগর থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। কিন্তু অভিযুক্ত মনোব্রত জানার স্ত্রীও এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা নির্যাতনের অভিযোগ করেন। রাজ্য পুলিশের সেই তদন্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।