— ফাইল চিত্র।
শব্দবাজির তীব্রতার ঊর্ধ্বসীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে ১২৫ ডেসিবেল করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, শব্দের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে হলফনামা দিতে হবে। চার সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি।
জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিল ‘সবুজ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য, সরকার শব্দবাজির তীব্রতার মাত্রা ১২৫ ডেসিবেলে বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু পরিবেশগত কারণে বাজির শব্দ ৯০ ডেসিবেলের বেশি হওয়া উচিত নয়। তাই সংগঠনের আবেদন, শব্দবাজির মাত্রা ৯০ ডেসিবেল করে দেওয়া হোক। সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়, শব্দবাজির তীব্রতার মাত্রা পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৃদ্ধি করেনি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সারা ভারতের জন্য তা কার্যকর হয়েছে। তবে, বাজারে বিক্রির জন্য আনা সব বাজিকেই সবুজ (পরিবেশবান্ধব) আতশবাজি হতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে এ রাজ্যে সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেলের বাজি ছাড়পত্র পেত। সম্প্রতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানায়, শব্দবাজি, যার সর্বোচ্চ মাত্রা ১২৫ ডেসিবেল, সেগুলি রাজ্যে বিক্রি করা যেতে পারে। আতশবাজির ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেল। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একমাত্র সবুজ বাজি তৈরি করা, বিক্রি এবং ফাটানো যাবে। রাজ্য পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট সবুজ বাজির ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট শব্দমাত্রা বেঁধে দেয়নি। তাই এ ক্ষেত্রে গোটা দেশে যে শব্দমাত্রা আছে সেটি মেনে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কালে আদালত যদি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশ দেয়, তখন সংশোধিত নির্দেশিকা দেওয়া হবে।