—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফের কলকাতার বসতে চলেছে বাজি বাজার। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্কস ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৯ সালের কালীপুজো ও দিপাবলির আগে শেষ বার এই মেলার আয়োজন হয়েছিল কলকাতায়। তার পর কোভিড সংক্রমণের কারণে আর কলকাতার শহিদ মিনারে বাজি বাজার বসেনি। কিন্তু এ বার অনেক আগে থেকেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সংগঠনের তরফে। অনুমতি পেতে আবেদন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তবে এই উৎসবের মরসুমে শব্দবাজি পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তাই বাজি ব্যবসায়ীরাও কলকাতা হাই কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে।
সেই অনুমতি পাওয়ার পর বুধবার থেকে বাজি বাজারের স্টল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬-১২ নভেম্বর কলকাতার শহিদ মিনারে বসবে বাজি বাজার। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু দত্ত বলেন, ‘‘বাজি বাজারের স্টলগুলি তৈরি করতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে। বাজারের প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে ৪ নভেম্বর কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা পরিদর্শনে আসবেন। সব পরিকল্পনা মাফিক এগোলে আগামী সোমবার থেকে পুরোদমে বাজি বাজার শুরু হয়ে যাবে।’’ এ বছর বাজি বাজারে শুধু মাত্র কিউআর কোড যুক্ত সবুজ বাজি বিক্রি হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারত সরকারের ঠিক করে দেওয়া ১২৫ ডেসিবেল শব্দতরঙ্গের মধ্যে সব বাজিই পাওয়া যাবে বাজি বাজারে।
অন্য দিকে, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে বাজি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে। এই মামলাটি দায়ের করেছে ‘সবুজ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য, সরকার শব্দবাজির মাত্রা ১২৫ ডেসিবেলে বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু পরিবেশগত কারণে বাজির শব্দ ৯০ ডেসিবেলের বেশি হওয়া উচিত নয়। তাই সংগঠনের আবেদন, শব্দবাজির মাত্রা ৯০ ডেসিবেল করে দেওয়া হোক। সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বাবলা রায় বলেন, ‘‘শব্দবাজির মাত্রা পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা়ড়ায়নি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সারা ভারতের জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হেতু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছুই করার নেই। যা হচ্ছে, সবই উচ্চ আদালতের নির্দেশে। তবে, বাজারে বিক্রির জন্য আনা সব বাজিকেই সবুজ আতশবাজি হতে হবে।’’