হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কে, কোথায় চিকিৎসা করাতে যাবেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। — ফাইল ছবি।
দুবাইয়ে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না, তা জেনেও আপত্তি করা হয়নি। মামলকারীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কারও নাম না করেই একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্ট। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নাম না করলেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘নিজের চিকিৎসার জন্য কোনও ব্যক্তি কোথায় যাবেন, সেটা তাঁর পছন্দ। কিছু দিন আগে এক মামলকারী চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই যেতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আমরা জানি সেখানে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না, তার পরেও আপত্তি করিনি। অনুমতি দিয়েছিলাম।’’
হাই কোর্টের এই মন্তব্য শুনে অনেক আইনজীবী মনে করছেন, নাম না করে বিচারপতি আসলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ, কিছু দিন আগে এই বিচারপতিই শর্তসাপেক্ষে অভিষেককে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে চোখের চিকিৎসা করাতে দুবাই যেতে চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টকরেট (ইডি) সেই অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আদালতে ইডি দাবি করে, দুবাইয়ের থেকে ভারতে ভাল চোখের চিকিৎসা হয়। তখন হাই কোর্ট জানিয়েছিল, কে, কোথায় চিকিৎসা করাতে যাবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের নামী এক পানশালার মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে এ রাজ্যের পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, চিকিৎসার জন্য ওই ব্যবসায়ীর বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। তাতে আপত্তি করে রাজ্য জানায়, খুবই সাধারণ একটা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এর জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালই যথেষ্ট। রাজ্যের এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই বিচারপতি চৌধুরী দুবাইয়ে চিকিৎসার প্রসঙ্গটি তোলেন।