সল্টলেকে হুকা বার বন্ধের সুপারিশ জানিয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেবেন সব্যসাচী দত্ত। ছবি: প্রতীকী
কলকাতার পর এ বার সল্টলেকেও কি বন্ধ হতে পারে হুকা বার? সল্টলেকে হুকা বার বন্ধের সুপারিশ জানিয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেবেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত।
যদিও সব্যসাচীর দাবি, এ বিষয়ে বিধাননগর পুরসভা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি স্বতপ্রণোদিত ভাবে ওই আবেদন করছেন। চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘বিধাননগর পুরসভা এই বিষয়ে এখনও কোনও রেজ়োলিউশন পাশ করেনি। জানুয়ারিতে সামনের বোর্ড মিটিং। সেখানে প্রস্তাব রাখা হবে। যদি পাশ হয়, তা হলে ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত হলেও তার পর হুকা বারের মালিকেরা আবার ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ করে নেবেন। হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
তবু সব্যসাচী হুকা বার বন্ধের বিষয়ে সুয়ো মোটো আনবেন। কেন, সে কারণও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হুকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যাঁরা জ্ঞানত সেবন করছেন, নিজের শরীরের ১২টা বাজাচ্ছেন। যাঁরা করছেন না, তাঁদেরও ধোঁয়া খেতে হচ্ছে। এর ফলে প্যাসিভ স্মোকিং হয়। সারা পৃথিবী দূষণের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফলে প্যাসিভ স্মোকিংয়ের বিরুদ্ধেও লড়াই করা উচিত।’’ তাই সত্ত্বর হুকা বার বন্ধ করার জন্য পুলিশকে আবেদন করতে চলেছেন তিনি। সব্যসাচী এই কথাও মনে করিয়েছেন যে, তিনি যখন বিধাননগর পুরসভার মেয়র ছিলেন, তখন হুকা বার বন্ধ করেছিলেন। পরে আবার তা চালু হয়।
এর আগে কলকাতা পুরসভা শহরের সব হুকা বার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহরের যে সব রেস্তরাঁ বা হোটেলগুলিকে হুক্কা বার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের নতুন করে আর এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হবে না। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, শহরের সব রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকেই হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনুরোধে কাজ না হলে, কিংবা গোপনে হুক্কা বার চালানো হলে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। নিয়ম অমান্য করলে রেস্তরাঁগুলির লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ।