Partha Chatterjee

পার্থের জামিন মামলার শুনানি শেষ হাই কোর্টে, রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ

২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। নিম্ন আদালতে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা সেই অভিযোগের শুনানি চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৮
Share:

রাজ্যের প্রাক্তন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। সেই মামলায় ইডির হাত থেকে জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। জামিনের বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে ইডিও। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই পার্থের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।

Advertisement

এই মামলার শুনানিতে পার্থকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের উচ্চ আদালতে। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে?’’ তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও প্রায় দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’’

ইডি আদালতে সওয়াল করার সময় জানায় যে, এক ‘মিডল ম্যান’-এর কাছ থেকে আরও কিছু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি এখনও তদন্তের আওতায় আসেনি। সঠিক পথে তদন্ত এগিয়ে চলছে। তবে পার্থের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকার দায় তাঁর উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি নিজে সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। নিম্ন আদালতে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা সেই অভিযোগের শুনানি চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদনও করেছেন পার্থ। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে সিবিআইয়ের সেই মামলাগুলি থেকে হাই কোর্টে জামিন চান পার্থ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। এর আগে ইডির মামলা থেকেও জামিন চেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সেই শুনানিই মঙ্গলবার শেষ হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement