Modi Degree Row

মোদীর ডিগ্রি বিতর্ক: স্রেফ কারও কৌতূহল মেটানো আরটিআইয়ের লক্ষ্য নয়! বলল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট সংক্রান্ত তথ্য কেউ চাইতেই পারেন। কিন্তু কোনও তৃতীয় পক্ষের কাছে এ জাতীয় তথ্য প্রকাশ করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দিল্লি হাই কোর্টে এ কথা জানান সলিসিটর জেনারেল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৮
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

শুধুমাত্র কারও কৌতুহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের লক্ষ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিগ্রি বিতর্কে সোমবার এ কথা জানাল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দিল্লি হাই কোর্টে জানান, আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু, কারও ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানান সলিসিটর জেনারেল।

Advertisement

মোদীর ডিগ্রি বিতর্কে আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাশ করা সব পড়ুয়ার তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে পড়ুয়াদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।

সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সঙ্গে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহির কোনও সম্পর্ক নেই। তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার ফলে আরটিআই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।

Advertisement

বস্তুত, মোদীর ডিগ্রি বিতর্কে এই মামলা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে দিল্লি হাই কোর্টে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাশ করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এ ভাবে দেওয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান আরটিআই কর্মী। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে কমিশন ওই তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়।

কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাশ করা পড়ুয়াদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই মোদীও স্নাতক হন। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মেহতা আদালতে জানান, আইন অনুসারে অনুমতি পেলে, কেউ নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে চাইতেই পারেন। কিন্তু কোনও তৃতীয় পক্ষের কাছে এ জাতীয় তথ্য প্রকাশ্যের অনুমোদন দেয় না আরটিআই আইন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশটি আইনের পরিপন্থী বলেই মত সলিসিটর জেনারেলের। তিনি বলেন, “ওই আরটিআই কর্মী ১৯৭৮ সালের (পাশ করা) সকলের তথ্য চেয়েছেন। এর পর কেউ এসে ১৯৭৯ সালের চাইতে পারেন। তার পরে কেউ এসে ১৯৬৪ সালের চাইতে পারেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement