—ফাইল চিত্র।
এ বার থেকে অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে স্তন্যপান করান এমন মহিলা পুলিশকর্মীরা ডিউটির সময়ে সাধারণ উর্দির পরিবর্তে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে পারবেন। শুক্রবার রাজ্য পুলিশ এ ব্যাপারে নির্দেশিকাও জারি করেছে। তাতে কী ধরনের পোশাক পরা যাবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এত দিন অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে স্তন্যপান করান এমন মহিলা পুলিশকর্মীদের উর্দি পরার ক্ষেত্রে কোনও কোনও জেলায় ছাড় দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও নিয়ম ছিল না। তাই বহু মহিলাকেই শাড়ি বা শার্ট-ট্রাউজ়ার্স পরতে হত। আঁটোসাঁটো উর্দি পরে ডিউটি করতে গিয়ে বহু অন্তঃসত্ত্বা সমস্যায় পড়তেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি করতে গিয়ে সদ্য মা হওয়া এক পুলিশকর্মীকে বিড়ম্বনার সামনেও পড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, মহিলা কর্মীদের এ হেন নানা অসুবিধার কথা জানার পরেই সম্প্রতি পুলিশের শীর্ষকর্তারা উর্দি বদল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। নির্দেশিকা জারি করে তা দ্রুত কার্যকর করতেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন। তবে এই উর্দি বাধ্যতামূলক নয়। কোনও মহিলা পুলিশকর্মী অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সময়কালে সাধারণ পোশাক পরেও চাইলে ডিউটি করতে পারবেন।
পুলিশের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার দ্বাদশ সপ্তাহ থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার এক বছর পর্যন্ত মহিলা পুলিশকর্মীরা সাদা (কমিশনারেট এলাকার জন্য) বা খাকি রঙের (জেলাপুলিশ এলাকা) সালোয়ার-কামিজ় পরতে পারবেন। কামিজ়ের দৈর্ঘ্য হাঁটু পর্যন্ত হতে হবে। দু’পাশে পকেট থাকবে। ওড়নার দৈর্ঘ্য হবে আড়াই মিটার। এ ছাড়া কামিজ়ের কাঁধে ফ্ল্যাপ থাকতে হবে। সালোয়ারের বদলে সোজা (স্ট্রেট) প্যান্টও পরতে পারবেন। পায়ে কালো রঙের পাম্প শু বা জুতোপরা যাবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদাত্রী মহিলা পুলিশকর্মীদের সাধারণ উর্দির বদলে এই বিশেষ উর্দি পরার জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দিয়ে নিজেদের ইউনিট ইনচার্জ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে।