ছবি: পিটিআই।
স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট দুর্নীতির মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেই মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বুধবার ওই পরোয়ানা খারিজ করে দেন।
মুকুলের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার ও শুভাশিস দাশগুপ্ত জানান, ওই গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। মামলার বক্তব্য ছিল, মুকুলের বয়স ৬৫ পেরিয়ে গিয়েছে এবং তিনি দিল্লির স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশ মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ৩১ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট সেই পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশ
জারি করে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায়। এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি মান্থার আদালতে। গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করলেও বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দিয়েছেন, যে-মামলায় ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, সেই মামলার তদন্ত চলবে।
কলকাতা পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে বড়বাজার থানা এলাকায় হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা ও রেলকর্মী কল্যাণ রায়বর্মণের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয় বড়বাজার থানায়। সেই মামলায় আরও চার জন গ্রেফতার হন। পুলিশ জানায়, তদন্তে মুকুলের নাম উঠে আসে। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তাঁকে তিন-তিন বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি।
পুলিশ জানায়, বারবার ডাকা সত্ত্বেও মুকুল হাজির না-হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য তদন্তকারী অফিসার আদালতে আবেদন করেন। ২৯ জুলাই সেই আর্জি মঞ্জুর করেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মনোদীপ দাশগুপ্ত।