Sandeshkhali Gangrape Case

সন্দেশখালির গণধর্ষণ মামলায় সিট গঠন করল হাই কোর্ট, লালবাজারের এসিপির নেতৃত্বে তদন্ত

২০২৪ সালের মে মাসে সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলা নতুন করে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০০
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সন্দেশখালিতে গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সিটের মাথায় থাকবেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। আদালত জানিয়েছে, এই সিটের সদস্য হবেন বাদুড়িয়ার এসডিপিও রাহুল মিশ্রও।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সন্দেশখালি মামলার শুনানি ছিল বুধবার। বিচারপতি জানান, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। এক মাস অন্তর সেই তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সিটকে জমা দিতে হবে বসিরহাট মহকুমা আদালতে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। সে দিন ইডি আধিকারিকদের উপর চড়াও হয়েছিলেন শাহজাহানের অনুগামীরা। সেই থেকে বসিরহাটের সন্দেশখালি এলাকা শিরোনামে উঠে আসে। শাহজাহান-সহ এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অত্যাচার, জমি জবরদখলের অভিযোগ আনেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই সময়ে সন্দেশখালির অনেক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগও তুলেছিলেন এলাকার দাপুটে নেতাদের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকবিরোধী প্রচারের অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠেছিল এই সন্দেশখালি। যদিও নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েনি। বসিরহাট কেন্দ্রে কয়েক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল। কেবল সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জেতে।

Advertisement

পরে ওই বছরেরই মে মাসে সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নতুন করে গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার হাই কোর্টে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই লালবাজারকে সিট গঠনের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement