—প্রতীকী ছবি।
তদন্তকারী সংস্থা এবং আতশকাচের তলায় থাকা নিয়োগ সংস্থার কাছে জোড়া রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
নিয়োগ পরীক্ষার ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্র এবং মেধা-তালিকায় কারচুপির অভিযোগের উত্তর দিতে হবে এসএসসি-কে। উত্তরপত্র কেন প্রকাশ করা হয়নি, কবে প্রকাশ করা যাবে— সবই জানাতে হবে তাদের। গোলাম নবি আজাদ নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি বসু এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের খবর, বুধবার একটি মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী অনিন্দ্য বসু উত্তরপত্র প্রকাশ এবং মেধা-তালিকার বাইরে কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানানোর কথা বলেন। সেখানে একই নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট।
গোলামের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, মেধা-তালিকায় ১০ এবং ১১ নম্বর স্থানে থাকা প্রার্থীকে টপকে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ১২ নম্বরে ঠাঁই পাওয়া প্রার্থী। আগামী শুনানিতে সেই প্রার্থী বা তাঁর আইনজীবীকে হাজির থাকতে বলেছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি এ দিন শুনানিতে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠিয়ে সিবিআই সংক্রান্ত বিষয়টি জানান। এজলাসে ছিলেন এসএসসি-র আইনজীবী সুতনু পাত্রও। ফিরদৌস জানান, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, মোট সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়োগের মধ্যে ৯০৭টি উত্তরপত্রে কারচুপি করা হয়েছে।
নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে উত্তরপত্র কারচুপিতে গাজ়িয়াবাদের বেসরকারি সংস্থা নাইসা-র নাম জড়িয়েছে। সেখানে হানা দিয়েই হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করেছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই একই সংস্থা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিল। তাই এই তদন্তে আলাদা ভাবে বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন নেই সিবিআইয়ের।