দময়ন্তী সেন।
নামখানা ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও দেওয়া হল আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে। এর আগে রাজ্যের চারটি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে দময়ন্তীকে। কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছে, নামখানা ধর্ষণ মামলার তদন্তভার দময়ন্তী নিতে না চাইলে এই মামলাটি সিবিআইকে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।
গত ৮ এপ্রিল রাতে নামখানায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রাত ৩টে নাগাদ ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শৌচালয়ে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করেন আক্রমণকারীরা । কিন্তু বাড়ির লোক টের পাওয়ায় তিনি বেঁচে যান। নামখানার ওই গৃহবধূ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবারের দাবি, রাতে যাঁরা ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করেন, তাঁরা শাসক দল তৃণমূলের সদস্য। ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দু’জনকে। এ বার ঘটনাটির তদন্তভার দেওয়া হল দময়ন্তীকে।
প্রায় এক দশক আগে ঘটে যাওয়া পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে দময়ন্তীর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তখন তিনি ছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান। সে সময় রাজ্যে সদ্য ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পার্ক স্ট্রিটের গণধর্ষণের ঘটনাটিকে ‘সাজানো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তখন দময়ন্তী তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, ধর্ষণই হয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী। গত ১২ এপ্রিল তাঁকে রাজ্যের চারটি ধর্ষণ-কাণ্ড— দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোনির তদন্ত নজরদারি করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এমনকি গাংনাপুর ধর্ষণ-কাণ্ড এবং খুনের তদন্তভারও দময়ন্তীকেও দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সেই মামলার শুনানি এখনও বাকি। তবে তার আগে নামখানার ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত ভার কলকাতা হাই কোর্ট দিল দময়ন্তীকে। এই নিয়ে রাজ্যের পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব পেলেন দময়ন্তী।