কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
জমির মিউটেশনের জন্য বিপুল টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। টাকার অঙ্কে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। উপযুক্ত তদন্ত করে পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জমির মিউটেশন বাবদ একটি সংস্থার কাছ থেকে ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। সেই মর্মে নোটিসও দেওয়া হয় সংস্থাটিকে। যা চ্যালেঞ্জ করে তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। বিচারপতি মিউটেশনের টাকার অঙ্ক শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি চেয়ারম্যানের ওই নোটিসটি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মিউটেশন বাবদ উপযুক্ত টাকাই পুরসভাকে দিতে হবে ওই সংস্থার। আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে।
খড়দহ পুরসভা এলাকায় ব্যবসার কাজে দু’টি জমি কিনেছিল সংস্থাটি। অভিযোগ, গত ৭ নভেম্বর ওই পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ওই জমির মিউটেশনের জন্য প্রায় ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা চেয়ে নোটিস দেন। তার পরেই আদালতে যায় সংস্থা। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, মিউটেশনের নামে যে পরিমাণ টাকা চাওয়া হয়েছে তা দেখে আদালত স্তম্ভিত। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে আদালত পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের ভিজিল্যান্স দফতরকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জানিয়েছেন, জমির জন্য উপযুক্ত মিউটেশনই দেবে সংস্থা। বাড়তি অর্থ তাদের দিতে হবে না। আগামী দিনে প্রাক্তন পুরপ্রধান মিউটেশনের ওই অর্থের জন্য কোনও যুক্তি দেখালে আইন অনুযায়ী তা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন মামলাকারী।