Bombay high Court

স্বামীর প্রেমিকা তো পরিবারের সদস্য নন! গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্তকে রেহাই বম্বে হাই কোর্টের

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মহিলা। তাতে স্বামীর প্রেমিকার নামও ছিল। কিন্তু প্রেমিকাকে রেহাই দিয়েছে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামীর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেছিলেন মহিলা। সেখানে অভিযুক্তদের মধ্যে রেখেছিলেন স্বামীর প্রেমিকার নামও। সেই নাম সরিয়ে দিল বম্বে হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামীর প্রেমিকা তাঁর পরিবারের সদস্য নন। তাই গার্হস্থ্য হিংসায় তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না। এফআইআর থেকেও প্রেমিকার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

তবে শুধু ওই একটি নামই অভিযুক্তদের তালিকা থেকে সরানো হয়েছে। নির্যাতিতা বধূর স্বামী এবং তাঁর পরিবারের বাকিদের নামে অভিযোগ বহাল আছে। আদালত জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে তদন্ত হবে।

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মহিলা। জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা তাঁকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ মহিলার। দাম্পত্যকলহের কারণও ছিল স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এফআইআরে স্বামীর প্রেমিকার নামেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে স্বামীর চ্যাটের স্ক্রিনশটও তিনি পুলিশকে দেখিয়েছেন।

Advertisement

এফআইআরে নিজের নামকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীর স্বামীর প্রেমিকা। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাই এবং বিচারপতি নীতিন বোরকারের বেঞ্চ জানিয়েছে, এফআইআর থেকে মামলাকারীর নাম বাদ দিতে হবে। কারণ তিনি ওই পরিবারের কেউ নন। গার্হস্থ্য হিংসায় তাঁর অবদান থাকতে পারে না। তদন্ত থেকে মামলাকারীকে রেহাই দিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement