প্রথমত রাজ্যকে বলা হয়েছে, বিশেষ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এ রাজ্যে কতগুলি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা জানাতে হবে। দ্বিতীয়ত, এখন রাজ্য কত জন বিশেষ শিক্ষক রয়েছেন? তৃতীয়ত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই শিশুদের ভর্তি করা হয় কোন স্কুলে? সাধারণ স্কুলে নাকি, তাদের জন্য তৈরি করা বিশেষ স্কুলে?
কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
সাধারণ স্কুলে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের শিক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য, তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভি়জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এখন রাজ্যে কত জন বিশেষ শিক্ষক রয়েছেন আগামী ১৬ মে-র মধ্যে তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। এমনকি, এই শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ স্কুল ছাড়া সাধারণ স্কুলে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও রাজ্য জানাবে।
শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে, ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত শিশুর শিক্ষাগ্রহণ বাধত্যমূলক। সেই সূত্র ধরে প্রত্যেক স্কুলে বিশেষ শিক্ষক এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা রাখা উচিত— এই দাবি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন সঞ্জীব ধর। সেই মামলাতেই আদালত রাজ্যকে চারটি বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলে।
প্রথমত রাজ্যকে বলা হয়েছে, বিশেষ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এ রাজ্যে কতগুলি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা জানাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, এখন রাজ্য কত জন বিশেষ শিক্ষক রয়েছেন, তা জানাতে হবে।
তৃতীয়ত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই শিশুদের ভর্তি করা হয় কোন স্কুলে? সাধারণ স্কুলে নাকি, তাদের জন্য তৈরি করা বিশেষ স্কুলে?
চতুর্থত, আদালত আরও জানতে চেয়েছে, এখন এই ধরনের আনুমানিক কত জন শিশু সাধারণ এবং বিশেষ স্কুলে পড়াশোনা করে।
আদালতের এই নির্দেশের পর মামলাকারীর আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, ‘‘সব রাজ্যকে এই নিয়মে মান্যতা দেওয়া উচিত। শিক্ষার অধিকার আইনের ভিত্তিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।’’