বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। —ফাইল চিত্র।
আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তি পেলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক-সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু এখনই সেই সব ধারা অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে না। ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
নিম্ন আদালতে তাঁর মামলার এফআইআর রদের আবেদন করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দনা। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানির পর ৮ সপ্তাহের জন্য চন্দনার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
চন্দনার আইনজীবী সোমনাথ অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে চন্দনা বাউড়িকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা এফআইআরও দায়ের করেন ওঁরই গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ, ৪৯৪, ৪০৬, ৫০৬ ধারায় এফআইআর করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৯৪ ধারাটি চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে ছিল। আমরা এই এফআইআর রদের আবেদন করি। তাতে আদালত ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ৪৯৪ ধারায় অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ দু’বার চন্দনাকে তলব করেছে কিন্তু এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত করার অধিকারই নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অগস্ট বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণকে গোপনে বিয়ে করেন বলে জল্পনা ছড়ায়। যদিও সে দিনই স্বামী শ্রবণ বাউড়িকে সঙ্গে নিয়ে নেটমাধ্যমে যাবতীয় জল্পনা নস্যাৎ করেন চন্দনা স্বয়ং। কুৎসা রটানোর জন্যই বিরোধীরা অপপ্রচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি। পরে জানা যায়, চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষ্ণের স্ত্রী রুম্পা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। ৫০৬ ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়। পাশাপাশি, ওই এফআইআরে আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হয় বলেও জানিয়েছিল পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। )