Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: শুকনো নদীতে জলদূষণ! মমতার সভার অনুমোদনে হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট

১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলীয় কর্মিসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সতীঘাটের এই সভাস্থল ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ১৮:২০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আর কোনও বাধা থাকল না

বাঁকুড়ায় গন্ধেশ্বরীর চরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আর কোনও বাধা থাকল না। সভাস্থল বদলের আর্জি জানিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল, তাতে কোনও অন্তবর্তী নির্দেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দিল, এই মামলায় এখনই হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে সভা হওয়ার কথা, সেই জায়গা এখন শুকনো। তাই, নদীর জল দূষিত হওয়ার প্রশ্নই নেই।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বার বাঁকুড়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ মে পুরুলিয়া থেকে তিনি বাঁকুড়ায় যাবেন। ওই দিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করার পাশাপাশি ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলীয় কর্মিসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সতীঘাটের এই সভাস্থল ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নদীখাতে সভা নয়, এই দাবি তুলে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছিলেন বাঁকুড়ার পরিবেশপ্রেমীরা। এর পরেই সভাস্থল পরিবর্তনের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, যে স্থানে সভা করা হচ্ছে, সেই জায়গাটা সঠিক নয়। তাঁর আর্জি, এই সভা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক। আইনজীবী সুবীর সান্যাল সওয়াল করেন, গন্ধেশরীর নদীগর্ভে সভা হলে জলদূষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদীর পাড়ের ক্ষতি হতে পারে।

Advertisement

তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, শুকনো নদীতে জলদূষণ কী ভাবে সম্ভব? এ ছাড়াও, অস্থায়ী বাঁশের কাঠামো তৈরি করে সভা হলে কী ভাবে জলদূষণ হতে পারে, তাও জানতে চান বিচারপতি। আপাতত এই মামলায় কোনও অন্তবর্তী নির্দেশ দিল না হাই কোর্ট। তবে মামলাটি খারিজও করা হয়নি। পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন স্থির হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষকেই হলফনামা দিতে বলেছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement