কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে আরও ৬০ হাজার আসনের প্রার্থীর হলফনামা (ডিক্ল্যারেশন ফর্ম) প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ভোটের আর পাঁচ দিন বাকি। ফলে কমিশনের হাতে হলফনামা প্রকাশের জন্যও রয়েছে মাত্র পাঁচ দিন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাধারণত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করে কমিশন। কোনও বছরই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণেই হলফনামা দেয় না কমিশন। তাঁদের যুক্তি, ভোটের আগে স্বল্প সময়ে এত প্রার্থীর হলফনামা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ বছর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই সকল প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি জানান, শুধু পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করলেই হবে না। সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর হলফনামাও প্রকাশ্যে আনতে হবে। হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, ভোটাররা যে প্রার্থীদের ভোট দেবেন, তাঁদের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার। হলফনামা দেখে প্রার্থী সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন ভোটাররা। তাই সকলের হলফনামা প্রয়োজন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলাটি করেন দেবপ্রসাদ নস্কর। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের ফলে ভোটের আগে পাঁচ দিনে আরও ৬০ হাজার আসনের প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। এই আসনগুলিতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা হবে দেড় লক্ষেরও বেশি। পাঁচ দিনে এত প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করার নির্দেশে চাপের মুখে কমিশন।
(সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, ভোটের আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত আসনের প্রার্থীদের হলফনামা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় হলফনামা কোথায় প্রকাশ করতে বলা হয়েছে, তা লেখা হয়নি। সেই কারণে পাঠকদের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিষয়টি গোচরে আসামাত্র আমরা সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)