West Bengal News

বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য-অহংকার’ মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি, উপনির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতেই তোপ মমতার

তিন কেন্দ্রেই এনআরসি যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, সে কথা বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২৯
Share:

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়া। —ফাইল চিত্র

লোকসভার ধাক্কা সামলে বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রেই জয় পেল তৃণমূল। উপনির্বাচনে অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগলেন বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য ও অহংকার’-এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার তিনি ফের সরব হন জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি)-র বিরুদ্ধেও।

Advertisement

মাত্র ছয় মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে খড়্গপুর-কালিয়াগঞ্জে পিছিয়ে থেকেও দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের এই জয়কে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি এই জয়কে রাজ্যের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর নতুন স্লোগান, ‘‘তিনে-তিন, বিজেপিকে বিদায় দিন।’’

তিন কেন্দ্রেই এনআরসি যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, সে কথা বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ভোটের ফল মোটামুটি স্পষ্ট হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওদের ঔদ্ধত্য, অহংকারকে মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। যখন তখন যে কোনও রাজ্যে যা খুশি করছে। বিজেপি কখনও এনআরসি, কখনও অন্য কিছু নিয়ে যা খুশি প্রচার করছে। এই মানুষরাই দীর্ঘ দিন ধরে ভোট দিয়েছেন, এমপি-এমএলএ বানিয়েছেন, সমস্ত কাজ করেছেন। আর এখন ওরা (বিজেপি) বলছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে।’’ এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির খারাপ হাল। মানুষ কাজ পাচ্ছেন না, উল্টে কাজ হারাচ্ছেন। যুব সমাজের কাছে কোনও দিশা নেই।’’

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আরও বলেন, ‘‘৯৮ সালে দল তৈরি হওয়ার পর থেকে গত ২১ বছর ধরে আমরা কোনও দিন কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর আসন জিততে পারিনি। এ বার মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। এটা মানুষের জয়। তাই মানুষকেই এই জয় উৎসর্গ করছি আমরা। মানুষের রায়ই বড় রায়, তার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।’’ মমতার কথায়, ‘‘দলের কর্মীরা সবাই মন-প্রাণ দিয়ে কাজ করেছেন। সবাই কাজ করেছেন। তাঁদের এই পরিশ্রমেই জয় এসেছে।’’

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের পর খড়গপুরেও জয়ী তৃণমূল প্রার্থী, করিমপুরেও জয়ে পথে ঘাসফুল

আরও পড়ুন: গডসে নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে সংসদীয় কমিটি থেকে সরাল বিজেপি

মাত্র ৫ মাস আগে লোকসভা ভোটের নিরীখে খড়্গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ— দুই কেন্দ্রেই বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এগিয়ে ছিলেন ৪৫ হাজার ১৩২ ভোটে। অন্য দিকে রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এগিয়ে ছিলেন ৫৬ হাজার ৭৬২ ভোটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘এত বিপুল ব্যবধান অতিক্রম করে জেতাটা বিরাট ব্যাপার। এটা দলের কর্মীদের একাগ্রতা এবং মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখার ফসল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement