মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিল পরিষেবা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যৌথ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের ওই পরিদর্শনকারী দলের। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি বলে সোমবার অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই রিপোর্ট একতরফা ভাবে দেওয়া হয়েছে বলে টুইট করেছেন ব্রাত্য। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন প্রতিনিধিরা। ওই দলের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী। টুইটারে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্র এবং রাজ্যের যে কোনও যৌথ প্রকল্পেই জয়েন্ট রিভিউ মিশন থাকে। যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি থাকেন। ১৩তম জয়েন্ট রিভিউ মিশন এই বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলে মিড ডে মিল পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।’’
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, রিপোর্টে ওই দলে রাজ্য সরকারের যিনি প্রতিনিধি, মিড ডে মিল প্রকল্পের সেই রাজ্য অধিকর্তার সই পর্যন্ত নেই। রিপোর্টে কী রয়েছে, তা-ও তাঁকে জানানো হয়নি।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ১৩তম জয়েন্ট রিভিউ মিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য। ওই চিঠির জবাব পেলেই এই ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। এই ঘটনার উদাহরণ টেনে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন ব্রাত্য। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সংবিধান স্বীকৃত কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, যা কেন্দ্রীয় সরকার নিত্য লঙ্ঘন করে থাকে, এটি তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’’ টুইটারে হ্যাশট্যাগ হিসাবে ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো’ শব্দবন্ধের উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহে ২ দিন ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর পরই মিড ডে মিল খাতে রাজ্যে ৬৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সামগ্রিক শিক্ষা মিশনে রাজ্যে আরও ৫৭৬ কোটি টাকা দিয়েছে। দু’টি প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এটা গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। এর মধ্যেই এ বার মিড ডে মিল পরিদর্শন নিয়ে কেন্দ্রের একতরফা রিপোর্ট নিয়ে আঙুল তুললেন শিক্ষামন্ত্রী।