প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। ফাইল চিত্র।
কলকাতায় সাত বছরের শিশুকন্যাকে খুন ও মালদহে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। তার মধ্যে এ বার হাওড়ায় অশান্তির ঘটনাতেও ‘হস্তক্ষেপ’ করলেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (এনসিপিসিআর) চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো।
সোমবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠিকে একটি চিঠি দিয়েছেন প্রিয়ঙ্ক। চিঠিতে তাঁর দাবি, দিন দুয়েক আগে হাওড়ার শিবপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গিয়েছে তাদেরও। প্রমাণ হিসাবে তার ভিডিয়ো ফুটেজের টুইটার লিঙ্কও চিঠিতে দিয়ে হাওড়া পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রিয়ঙ্ক। এ ব্যাপারে হাওড়ার সিপি প্রবীণের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আনন্দবাজার অনলাইন। যদিও তা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাচক্রে, গত শনিবারই তিলজলাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতায় এসে রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রিয়ঙ্ক। মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঠিক তার পরেই বিশ্বককে ডুমুরজলার পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে সরিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশি ছিলেন না প্রিয়ঙ্ক। সে কথা আনন্দবাজার অনলাইনকেও জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, তিলজলায় পুলিশের তদন্ত নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে তদন্তকারীদের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিলেন এনসিপিসিআর-এর চেয়ারম্যান। পুলিশি তদন্তের নানা ভুলত্রুটি ধরে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার পুলিশ মনে হয় না, খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে। ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড়েও ওরা তৎপর নয়।’’
এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে মালদহেও। সেখানেও স্কুলের মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সুদেষ্ণার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্ক। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে, এই অভিযোগ খারিজ করে প্রিয়ঙ্কের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ তুলেছেন সুদেষ্ণা। এই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই প্রিয়ঙ্ক আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, বাংলা সফরে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা দিল্লি ফিরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাবেন তিনি। প্রিয়ঙ্ক দিল্লি ফিরে গিয়েছেন। ফিরে গিয়েই এ বার শিবপুরকাণ্ড নিয়ে হাওড়া পুলিশকে চিঠি দিলেন তিনি।