—প্রতীকী ছবি।
সন্দেশখালির ঘটনা এখনও টাটকা। ইডির তল্লাশিতে বাধা, মারধর, স্থানীয় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতার অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।
শুধু জেলা তো নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শহরের অলিগলিও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইডি ও সিবিআই। তাই, এ বার শহরের পুলিশকে সতর্ক করল লালবাজার। বলা হল ইডি বা সিবিআইয়ের তল্লাশির খবর পেলেই ওসি বা অফিসারকে বডি ক্যামেরা-সহ পৌঁছে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ক্যামেরায় তা রেকর্ড করতেও বলা হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ওই বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ফুটেজ লালবাজারকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
লালবাজারের নির্দেশ, যত ক্ষণ তল্লাশি চলবে তত ক্ষণ থানার অফিসারদের সেখানে থাকতে হবে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রগতি ময়দান এবং পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকায় ইডির তল্লাশির সময়ে স্থানীয় থানা ছবি তুলেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার নয়াবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানেও লালবাজারের নির্দেশ মেনে স্থানীয় পুলিশ উপস্থিত ছিল বলে সূত্রের খবর।
লালবাজার সূত্রের খবর, কোনও রকম সমালোচনা এড়াতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও রকম অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তবে কোনও ভাবেই তল্লাশির জায়গায় ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় পুলিশকে। বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে বডি ক্যামেরা চালু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে। যাতে পুলিশ ওখানে যে গিয়েছিল, তার প্রমাণ থাকে।