Aadhaar Cards

আধার কার্ড পেয়ে আঁধার ঘুচল সুখেনের, এ বার বসবেন প্রাথমিকে নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে

সুখেনের বাবা স্বপন মাহাতো দিনমজুরের কাজ করেন। ছেলের পড়াশোনায় আগ্রহ থাকায় কষ্ট করেও পড়িয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ২২:০৬
Share:

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবার হস্তক্ষেপে আধার কার্ড তৈরি হল ২৯ বছরের সুখেন মাহাতোর। — ফাইল ছবি।

আধার কার্ড ছিল না। তাই আঁধার নেমে এসেছিল জীবনে। শেষ পর্যন্ত কাটল অনিশ্চয়তা। টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন জন্মান্ধ যুবক। ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। কিন্তু আধার কার্ড না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন। অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবার হস্তক্ষেপে আধার কার্ড তৈরি হল ২৯ বছরের সুখেন মাহাতোর।

Advertisement

সুখেনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার অন্তর্গত নেতাই এলাকার জমাশোল গ্রামে। তিনি সরকারি শালবনি মহাবিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা নিয়ে স্নাতক পড়ছেন। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সুখেনের বাবা স্বপন মাহাতো দিনমজুরের কাজ করেন। ছেলের পড়াশোনায় আগ্রহ থাকায় কষ্ট করেও পড়িয়ে ছিলেন। জন্মান্ধ হওয়ার কারণে যখন এলাকার সকলের আধার কার্ড তৈরি হয়েছিল, তখন সুখেনের আধার কার্ড তৈরি হয়নি। ফলে তাকে সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

সুখেন জানান, রেলের বিভিন্ন পরীক্ষায় আধার কার্ড না থাকার জন্য বসতে পারেননি। ২০২২ সালের টেট দিয়ে উত্তীর্ণ হয় তিনি। এ বার সুখেনের ইন্টারভিউ। আধার কার্ড ছাড়া তাতে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে একটি আইনি সচেতনতা শিবির হয়েছিল। সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সুখেন। তিনি নিজের সমস্যার কথা জানান এক স্বেচ্ছাসেবীকে। সেই স্বেচ্ছাসেবী অনুপম সিংহ বিষয়টি জানান ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারককে। বিচারকের নির্দেশে ঝাড়গ্রাম হেড পোস্ট অফিসে সুখেনের আধার কার্ড তৈরির যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করা হয় ১৪ মার্চ।

Advertisement

মঙ্গলবার সুখেনের হাতে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আধার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে টেট উত্তীর্ণ সুখেন বলেন, ‘‘আমি জন্মান্ধ। চোখে দেখতে পাই না। বিভিন্ন কারণবশত আমার আধার কার্ড তৈরি হয়নি। যার জন্য রেলের গ্রুপ-ডি পরীক্ষাগুলো আমি দিতে পারিনি। ২০২২ সালের টেট–এ আমি উত্তীর্ণ হই। কয়েক দিনের মধ্যে ইন্টারভিউ রয়েছে। আমার আধার কার্ড না থাকায় আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমি আধার কার্ড পেয়েছি বিনামূল্য। আমি ওঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement