বেলডাঙা থেকে বহরমপুরের পথে বিজেপির রথ। নিজস্ব চিত্র
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার হাতে সূচনা হওয়ার দু’দিনের মাথায় সাময়িক ভাবে থমকে গেল বিজেপি-র নবদ্বীপ জোনের রথের চাকা। সোমবার বেলডাঙায় গেরুয়া শিবিরের ‘পরিবর্তন যাত্রা’ শুরু হতেই তা আটকে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর অবশেষে রথের চাকা গড়ানোর অনুমতি দেয় প্রশাসন। তবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় রথের পথ।
শনিবার নবদ্বীপ জোনের রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন নড্ডা। নদিয়া জেলায় পরিক্রমা শেষ করে রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদে ঢোকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। রবিবার রেজিনগর হয়ে রথ পৌঁছয় বেলডাঙায়। সোমবার মুর্শিদাবাদের নওদা এবং হরিহরপাড়া বিধানসভা ঘুরে বহরমপুরের দশমুণ্ড কালীবাড়ির মাঠে জনসভা ছিল বিজেপি-র। কিন্তু সকালে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে রথের চাকা গড়াতেই তা প্রশাসনের আপত্তিতে থমকে যায়। রথের সামনে তৈরি করা হয় ব্যারিকেড।
রথযাত্রা প্রাথমিক ভাবে থমকে যাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা বাধে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বদল হয়নি। প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসে গেরুয়া শিবির। কান্দি, রঘুনাথগঞ্জ, নওদা-সহ জেলার একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীরা। বিজেপি নেতা গৌরীশঙ্কর ঘোষের কথায়, ‘‘আমরা মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু বেলডাঙা থানার পুলিশ অনুমতি দেয়নি। আমরা পরিবর্তন যাত্রা বার করলে তাতে বাধা দেওয়া হয়।’’ অবশেষে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর চাকা গড়ায় রথের। সোমবার দুপুরে পুলিশি নিরাপত্তায় বহরমপুরে পৌঁছয় রথ।
রাজ্যের ৫টি জোনে ওই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য নবান্নে আবেদন করেছিল বিজেপি। রাজ্যের তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়, নবান্ন নয়, বিজেপি-র ওই কর্মসূচিকে অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে নবদ্বীপ, উত্তরবঙ্গ, মেদিনীপুর, রাঢ়বঙ্গ এবং কলকাতা— এই ৫টি জোনে রথযাত্রা কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় বিজেপি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নবদ্বীপ জোনের ওই রথ ১ মাস ধরে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাওয়ার কথা।