জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামানিক। ফাইল চিত্র।
দলের দুই সাংসদ ও বিধায়ক নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকারকে নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বিজেপি। নীলবাড়ি দখলের লড়াই লোকসভার ৪ সাংসদকে বিধানসভার ময়দানে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে হলেও তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন নিশীথ। আবার শান্তিপুরে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ ১৫,৮৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি-র ৭৭ জন বিধায়কের সিংহভাগই বিধানসভায় এসে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সেই তালিকায় এখনও পর্যন্ত নেই নিশীথ ও জগন্নাথের নাম।
বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানা যাচ্ছে, কোনও সাংসদ যদি বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে শপথ নিয়ে নেন তবে পরবর্তী দু’সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিজেপি-র চিন্তা দুই সাংসদ বিধায়ক পদে শপথ নিলে তাদের লোকসভার আসন ছাড়তে হবে। আর সাংসদ পদ রেখে দিয়ে বিধায়ক পদ ছাড়লে দু’জন বিধায়ক কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মুখাপেক্ষী বলে জানা গিয়েছে। কারণ, আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে নিশীথ ও জগন্নাথকে। কারণ, নিয়ম বলছে বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে হয়। আর যেই পদই তাঁরা ছাড়ুন তাতে উপনির্বাচন হবে।
নিশীথ ও জগন্নাথের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও সহজ নয়। চলতি লোকসভার মেয়াদ রয়েছে ৩ বছর। অন্য দিকে, চাইলে তাঁরা আগামী ৫ বছর বিধায়ক থাকতে পারবেন। বিজেপি-র ক্ষেত্রেও চিন্তা রয়েছে। লোকসভায় তাঁদের পর্যাপ্ত শক্তি রয়েছে। এই দু’জন বিধায়ক না থাকলে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় সাংসদ পাঠানোর সুবিধা কমে যাবে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে জয় পাওয়াও সহজ হবে না। একই ভাবে কোচবিহার ও রানাঘাট লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে জয় পাওয়াও খুব সহজ হবে কি না সেটাও মাথায় রাখতে হবে বিজেপি-কে।