বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’র পাল্টা এ বার বিজেপির ‘জনতার দরবার’। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার জানান, এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত ১৮ জন দলীয় সাংসদই প্রতি মাসে এক বার বা দু’বার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত বিধানসভাগুলিতে জনতার দরবার করবেন। আর সংশ্লিষ্ট বিধানসভাগুলিতে ওই সাংসদদের কার্যালয় থাকবে। সেখানে দলের কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেবেন।
বিজেপি সাংসদদের এই কর্মসূচি যে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’র পাল্টা, তা অবশ্য দিলীপবাবু মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জনতার দরবার আমরা আগেও করতাম, পরেও করব। দেশের সর্বত্রই বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদদের এটা সাধারণ রীতি।’’ একই সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে তৃণমূলের প্রতি দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘দিদিকে লোকে বলতে পারেন, কিন্তু দিদি কি শুনবেন? দিদি তো কারও কথা শুনতেই চান না! আসলে শোনাটা এবং মানুষের সমস্যার সমাধান করা ওঁদের উদ্দেশ্যও নয়। প্রচার করাটাই ওঁদের উদ্দেশ্য।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘জনতার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ওদের জনতার দরবারেরও কোনও গুরুত্ব নেই। আর ওরা বুঝতে পারছে না, এ রাজ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই মানুষ শোনেন এবং তাঁর কাছেই তাঁদের প্রত্যাশা থাকে।’’
দিলীপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় দিল্লিতেই তাঁকে এখন বেশি সময় দিতে হচ্ছে। বিজেপিকেও বিশেষ আন্দোলন কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে না। তা হলে কি বিজেপি সাংগঠনিক পরিবর্তন করবে? উত্তর এড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘সাংগঠনিক পরিবর্তন হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পর। এখন আমরা সদস্য সংগ্রহ অভিযানেই বেশি ব্যস্ত। আন্দোলন জেলা স্তরে হচ্ছে। পরে রাজ্য স্তরে বড় আন্দোলন হবে।’