শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও শমীক ভট্টাচার্য।
ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত বলে ফল ঘোষণার দিন থেকেই সরব রাজ্য বিজেপি। এ বার সেই সব ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্বজ্জনদের পথে নামার আহ্বান জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার দলের রাজ্য নেতাদের নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে বৈঠক করেন দিলীপ। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সেই বৈঠকের পরেই তাঁরা দু’জন ও রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই দিলীপ দাবি করেন, জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচার হয়েছে। খুন, মারধর, অগ্নিসংযোগ থেকে শ্লীলতাহানি চলছে। এমন ঘটনা প্রায় ১৫ হাজার বলে দাবি করেন দিলীপ। সেই সঙ্গেই বিদ্বজ্জনদের কাছে প্রতিবাদে সরব হওয়ার আবেদন জানান। ভোট প্রচারের সময়ে তো বটেই বরাবর সমাজের বিশিষ্টজনদের কটাক্ষ করেন দিলীপ। শুক্রবারও সেই সুরেই বলেন, “বুদ্ধিজীবীরা পথে নামুন। কেউ শিল্পী হতে পারেন, কেউ সেকুলার বুদ্ধিজীবী হতে পারেন। এখন সবারই দায়িত্ব এগিয়ে আসার। যাঁরা কথায় কথায় ছবি এঁকে প্রতিবাদ করেন তাঁদেরও বলছি আসুন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বাঁচার অধিকার রক্ষা করুন।”
দিলীপের দাবি, শুধু বিজেপি কর্মীরাই নয় আক্রান্ত ভোটাররাও। বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার অপরাধে জেলায় জেলায় অত্যাচার চলছে। তিনি বলেন, “হাজার হাজার মানুষ ঘরছছাড়া, ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।” সেই সঙ্গে দিলীপের দাবি, অনেকেই অত্যাচারের কথা পুলিশকে ভয়ে জানাতে পারছেন না। আবার অনেক জায়গায় পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না। বিজেপি কর্মীদের অনেক জায়গায় রেশনের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না এবং টিউবঅয়েলে চেন দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
শুক্রবার থেকেই রাজ্যের কৃষিজীবীরা কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘কিসান সম্মান নিধি’র টাকা পেয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু দাবি করেন, এই রাজ্যের কৃষকরা এতদিন এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ি।