মাইকেল ও তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, সুশান্ত, মাইকেলের ভগ্নিপতি অসীম ও তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, মা বর্ণালী (বাঁ দিকে), অমিয়কুমার (ডান দিকে) নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এক মাসের মধ্যে পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত হয়ে, একের পর এক মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের মহীশিলা কলোনির বাসিন্দা, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর কর্মী সুশান্ত মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। পরে, গত ২১ এপ্রিল রানিগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। মাত্র ৩৬ বয়সে ছেলের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাবা অমিয়কুমার মুখোপাধ্যায় (৬৬) পুত্রশোকে মাত্র ৮ দিনের মাথায়, গত ২৯ এপ্রিল প্রয়াত হন।
পরিবারের অপর সদস্য, মাইকেল মুখোপাধ্যায় (৪১)-ও অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েক দিনের মধ্যেই। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে গত ৬ মে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ৮ মে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন। দুই সন্তানের শোক সামলাতে পারেননি মা বর্ণালী মুখোপাধ্যায় (৫৯)। তিনি দ্বিতীয় পুত্রের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় বাড়িতেই প্রয়াত হন।
পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যুর পর একা বড় ছেলে মাইকেলের স্ত্রী, কন্যা রয়ে গেলেন পরিবারে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মহীশিলা কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে। এক মাস আগেও ঘর ভর্তি লোক ছিল যে বাড়িতে, সেখানে এখন শ্মশানের স্তব্ধতা। মেনে নিতে পারছেন না কেউই।