প্রতীকী ছবি
ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে অনলাইনে অর্থ সংগ্রহ শুরু করল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই কর্মীদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে বলে সরব গেরুয়া শিবির। বেশ কিছু ঘটনাও সামনে এসেছে। যদিও সামনে আসা ঘটনার অনেকটাই মিথ্যা বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
দেশ জুড়ে ধর্না, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে দরবার, রাজ্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি সবই হয়েছে গত কয়েক দিনে। সেই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন মূলত দিল্লির বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বোলপুর বিধানসভা আসনে পরাজিত অনির্বাণ একা নন। তাঁর সঙ্গে এই ‘ক্রাউডফান্ডিং’ অভিযানে রয়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। দিল্লির আপ সরকারের এক সময়ের এই মন্ত্রী ২০১৯ সালে বিজেপি-তে যোগ দেন। রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার দাবি, দল নয় ওই দুই নেতা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই অর্থ সংগ্রহ করছেন।
দাবি করা হয়েছে, মোট ১ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে উদ্যোগ শুরু হতেই নাকি ব্যাপক সাড়া মিলেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত ৪৫ লাখ টাকা ওই তহবিলে জমা পড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। কর্মীদের কী ভাবে ওই টাকা দেওয়া হবে সে সম্পর্কে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থার কথা অবশ্য তৃণমূল বা রাজ্য সরকার মানতে নারাজ। শনিবারই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে হামলার যে সব ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে তার বেশির ভাগই ভুয়ো। মমতা বলেছেন, ‘‘মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই রায় গ্রহণ করতে না পেরে চক্রান্তকারীরা ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি ওই ভিডিয়োর ৯৯ শতাংশ ভুয়ো। আমি বিধায়কদের বলব এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। সঙ্গে পুলিশকে বলব, ফেক ভিডিয়োর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’’
বিজেপি-র এই অর্থ সংগ্রহ অভিযানেরও সমালোচনা করেছে তৃণমূল। নির্বচনের প্রচার পর্ব থেকেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা খরচের অভিযোগ তুলে এসেছেন মমতা থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা। এখন অর্থ সংগ্রহকেও লোক দেখানো বলে মনে করছে তৃণমূল।