গত বিধানসভা ভোটে ২০০ পার করার কথা শোনালেও ৭৭-এ থেমে গিয়েছিল বিজেপির আসনপ্রাপ্তি। —ফাইল চিত্র।
বাংলার বিধানসভা ভোটের আরও তিন বছর বাকি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলায় সরকার গড়ার স্বপ্ন সফল হয়নি বিজেপির। ২০০ পার করার কথা শোনালেও ৭৭-এ থেমে গিয়েছিল বিজেপির আসনপ্রাপ্তি। তাতে ভেঙে না পড়ে ২০২৬ সালে বাংলায় সরকার গড়ার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সভায় বক্তৃতায় নাড্ডার ডাক, ‘এক ধাক্কা অউর দো’ (আর একটা ধাক্কা দিন)।
রবিবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ও পূর্ব মেদিনীপুরের রাগনগরে জোড়া ‘জনসম্পর্ক সভা’ করেন নাড্ডা। রাজ্যের শাসকদলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ডাক দিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়েও নিশানা করেন নাড্ডা। শিশির অধিকারীর কাঁথি লোকসভার অধীনে থাকা রামনগরে নাড্ডা তুলে ধরেন ‘মোদী প্যাকেজ’। তিনি বলেন, ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ স্লোগান থেকে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কখনও বিচ্যুত হয় না। বাংলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দরদ এবং ভালবাসার অনেক দৃষ্টান্ত আছে।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এর পর একে একে কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলা কী পেয়েছে, তা নিয়ে বলতে শুরু করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারের বাজেটে কলকাতা মেট্রোর জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদীজির সরকার। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল এবং সত্যজিত্ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে যথাক্রমে ১৫ এবং ৬৩ কোটি টাকা। আইএসআই পেয়েছে ২৩ কোটি টাকা।’’
নাড্ডার সংযোজন, ‘‘গত (বছরের) ৩০ ডিসেম্বর মোদীজির বাংলার প্রতি দরদ, ভালবাসার আরও এক দৃষ্টান্ত এ রাজ্যের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। সেদিন মায়ের শেষকৃত্য সেরে প্রধানমন্ত্রী বাংলার রেলপ্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।’’ প্রসঙ্গত, ওই দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরকে জাতীয় সড়কে যুক্ত করতে নিতিন গডকড়ীর মন্ত্রক ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করেছে।’’ যদিও ‘জলজীবন মিশন’, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ ইত্যাদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দের উল্লেখ করে নাড্ডা নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, ‘‘দিদির প্রশাসন কোনও কাজ করে না। তারা শুধু নাম চুরি করে। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’কে ‘বাংলা আবাস’ যোজনা বলে চালাচ্ছে। তৃণমূলের যে নেতা দুটো পাকা বাড়ির মালিক, তিনিও গরিবের বাড়ি দখল করেছেন।’’ এর পর বাংলার সরকার বদলের ডাক দিয়ে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার তৈরির আহ্বান জানান নাড্ডা।