মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে ৩০৬ রানে জেতে মনোজের বাংলা। —ফাইল চিত্র
বাংলার সামনে রঞ্জি ট্রফি জয়ের হাতছানি। বাকি আর একটি ম্যাচ। ঘরের ইডেনে খেলতে নামবেন মনোজ তিওয়ারিরা। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ জিতলেই ইডেন মাতবে আনন্দে। রঞ্জি সেমিফাইনাল জয়ের পরেই উচ্ছ্বাস শোনা গেল বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। মনোজদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি। জানালেন ইতিমধ্যেই ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন বাংলা রঞ্জি জিতলে কী করা হবে সেই নিয়ে।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩০৬ রানে জেতে বাংলা। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দলকে তাদের মাঠে গিয়ে হারিয়ে আসেন লক্ষ্মীরতন শুক্লর ছেলেরা। সেই জয়ের পর সিএবি প্রধান স্নেহাশিস আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “এটা দারুণ একটা ঘটনা। রঞ্জি ফাইনাল সব ক্রিকেটারদের কাছে খুব স্পেশাল। আমরা শেষ তিন বারের মধ্যে দু’বার রঞ্জি ফাইনাল খেলব। এটা প্রমাণ করে আমরা কতটা শক্তিশালী। এ বছর ফাইনাল হবে ইডেনে। ১৯৯০ সালের পর আবার ফাইনাল খেলব এখানে। এটা সমর্থকদের জন্যও খুব ভাল ব্যাপার। আমরা চাইব বাংলার ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক মাঠে এসে খেলা উপভোগ করুন। সিএবি-র তরফ থেকে বাংলা দলের জন্য শুভেচ্ছা রইল। যে ভাবে আমরা অন্য দলগুলির উপর দাপট আমরা দেখিয়েছি সেটার প্রশংসা করতে হবে। আশা করি ফাইনালে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব আমরা।”
রঞ্জি জিতলে সিএবি-র তরফে কী কী পুরস্কার দেওয়া হবে বাংলা দলকে? সিএবি প্রধান বললেন, “বাংলা দল সবে ফাইনালে উঠেছে। আমরা ট্রফি জিততে চাই। আগাম কোনও ঘোষণা করব না। বাংলা রঞ্জি ট্রফি জিতলে তার পর জানাব আমরা। আগে থেকে কোনও কিছু জানাতে চাইছি না।”
সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ। ভুল আউটের শিকার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। আকাশ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তাঁর দাপটে মধ্যপ্রদেশ প্রথম ইনিংসে শেষ হয়ে যায় ১৭০ রানে। ২৬৮ রানে লিড পেয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৫৪৮ রানের বিরাট লক্ষ্য রাখে তারা মধ্যপ্রদেশের সামনে। কিন্তু ৩০৬ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা।