—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে শাসক-বিরোধী লড়াইয়ে উত্তপ্ত গ্রাম বাংলার পরিবেশ। নির্বাচনের দিন সেই আঁচ শহর কলকাতায় নিয়ে আসতে পরিকল্পনা করছে বিজেপি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের দিন বড়সড় অশান্তি হলে বিক্ষোভে যাতে শহর ‘অচল’ করে দেওয়া যায়, তার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। মূলত উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য মনে করছে, এই ধরনের ‘নাটক’ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না।
পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচনের দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল ১১টার পর থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূল জমায়েত থাকবে দলের সাবেক রাজ্য দফতরে। সেখান থেকে বেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ হতে পারে। মোট ৮টি জায়গায় বিক্ষোভের পরিকল্পনা আছে। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে ভাঁড়ারে পুলিশের সংখ্যা কম। সেই সুযোগকে ‘কাজে’ বিক্ষোভে নামতে চায় বিজেপি।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নির্বাচনের দিন নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকবেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর থাকার কথা পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে বড় কোনও ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা ঘটলে তিনি কলকাতার বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেন। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ওই দিন পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকার কথা। সুকান্ত বলেন, “এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কর্মীদের ওই দিন যে কোনও সময় মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।” দক্ষিণ দিনাজপুরে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই বার্তাও দিয়েছেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে কর্মীদের বলছি, প্রতিবাদ করুন। প্রতিরোধ করুন, বাকিটা আমি বুঝে নেব!’’
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি যে স্কুলে পড়ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন! তাই যে লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে এসেছেন, তাঁর সামনে সেই নাটক করে লাভ হবে না।”
পঞ্চায়েত প্রচারের শেষ দিনে, বৃহস্পতিবারও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’, বিজেপি কর্মীদের হত্যা করার প্রতিবাদে বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়।