লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিমিত্রা পাল।
রাজ্য বিজেপির ২৪ জনের কোর কমিটি ঘোষণা হয়েছে সোমবার। তার মধ্যেই দলের সাত মোর্চার মাথায় সাত পর্যবেক্ষক (ইনচার্জ) নিয়োগ করল রাজ্য নেতৃত্ব। গুরুদায়িত্ব পেলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
যুব, মহিলা, কিসান, তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু— বিজেপির এই সাত মোর্চার এক জন করে সভাপতি রয়েছেন। তাঁরাই মোর্চার কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। যেমন, যুব মোর্চার সভাপতি পদে রয়েছেন ইন্দ্রনীল খাঁ। মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী। কিন্তু এঁরা সঠিক ভাবে কাজ করছেন কি না, তা নজরে রাখার জন্য এ বার পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর গেরুয়া শিবির সূত্রে। অগ্নিমিত্রাকে যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। মহিলা মোর্চার মাথায় বসানো হল লকেটকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার রাজ্যের ৪২টি লোকসভার কেন্দ্রের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। সোমবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। তার পরেই কোর কমিটি ঘোষণা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এ বার সাত মোর্চার সাত পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল। যে সাত জনকে মোর্চাগুলির পর্যবেক্ষক পদে বসানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে রাজ্য কমিটিতেই রয়েছেন।
ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণকে ওবিসি মোর্চার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সংখ্যালঘুর মোর্চার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাফুজা খাতুনকে। শ্যামচাঁদ ঘোষকে করা হয়েছে কিসান মোর্চার পর্যবেক্ষক। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতি মোর্চার মাথায় বসানো হয়েছে যথাক্রমে মুকুটমণি অধিকারী এবং ক্ষুদিরাম টুডুকে।
দলীয় সূত্রে খবর, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আগে ঠিক হয়েছিল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানার উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে। সেই কারণেই সুনীলকে ওই তিন রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও সরিয়ে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক হিসাবে মঙ্গলকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই এ বার সাত মোর্চার মাথায় সাত জনকে বসানো হল।