TMC

বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড, আদালতে যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি-র বিধায়কেরা

বাজেট অধিবেশনে শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে মারামারির জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩৩
Share:

বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। ছবি: পিটিআই

রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। শনিবার বিজেপি সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ এবং আলাপ-আলোচনা চলছে।

বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে শাসক ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের মধ্যে মারামারির ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে। তারও আগে থেকেই সাসপেনশনে রয়েছেন বিরোধীদলের আরও দুই বিধায়ক। সংসদীয় তথা পরিষদীয় প্রথা মেনে সাসপেনশন চলাকালীন বিধানসভার ভিতরের অলিন্দ বা তাঁর নিজের ঘরেও বিরোধী দলনেতা ঢুকতে পারবেন না বলে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ভাতাও বিরোধী দলনেতা বা সাসপেনশনে-থাকা কোনও বিধায়ক পাবেন না।

Advertisement

বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। এক্ষেত্রে তাদের ‘হাতিয়ার’ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়।

Advertisement

২০২১ সালের জুলাই মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে। ‘অসংসদীয়’ আচরণের অভিযোগে তাঁদের এক বছরের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শাস্তিপ্রাপ্ত বিধায়করা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সাসপেনশন বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে বিচারপতি এ এম খান উলকর, বিচারপতির দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি সিটি রবিকুমার ওই রায় দেন।

সেই রায়কে ‘হাতিয়ার’ করেই বিজেপি পরিষদীয় দল আদালতে আবেদন জানাতে পারে বলে সূত্রের দাবি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ছাড়াও এই অধিবেশন থেকে ‘অসংসদীয় আচরণ’-এর জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাত ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনকে।

রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার দিন গোলমালের অভিযোগে আগেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে বলেই জেনেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। তার পরেই তাঁরা একযোগে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

তবে এ প্রসঙ্গে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দলের সাসপেন্ডেড কোনও সদস্য। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রবীণ সদস্য নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির বলেন, ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে রাখা যায় না। কারণ, তাঁরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় মানুষের কথা বলতে এসেছেন। তাই বিধায়কদের অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করব। সেই লড়াই করতে যতদূর পর্যন্ত যেতে হয়, বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে আমরা ততদূর পর্যন্ত যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement