বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ফাইল চিত্র।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। পুনরায় গ্ৰুপে ফিরতে চান। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কাছে ভুল স্বীকার করে নিলেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। তিনি রাজ্য সভাপতিকে তিনি জানান, আবেগের বশে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই আবার জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে ফিরতে চান। তবে অন্য চার বিদ্রোহী বিধায়ক নিজেদের আগের অবস্থানেই রয়েছেন।
বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনও মুখ নেই। এই অভিযোগ তুলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বিজেপি-র পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার অভিপ্রায়ে তাঁরা গ্ৰুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তার পরই ওই বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হলে অস্বস্তি শুরু হয় বিজেপি শিবিরের। তাঁরা দলত্যাগ করতে পারেন বলেও রটে যায়। রাজ্য বিজেপি-র ওই কমিটি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। তবে সেখানেই থেমে না থেকে জল গড়ায় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই ক্ষোভ প্রশমনে কমিটিতে রদবদল করতে পারেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। তিনি নাকি শান্তনুকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই রাজ্য কমিটি পরিবর্তনও হতে পারে। তবে কবে তা হবে নির্দিষ্ট ভাবে এখনও তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, জানুয়ারির শুরুতে রাজ্যে আসতে পারেন নড্ডা। তখনই তাঁর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। তার পরই হয়ত নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিজেপি।
ওই বিদ্রোহীদের মধ্যেই ছিলেন অম্বিকা। জানা গিয়েছে, নড্ডার আশ্বাসের পরই তিনি গ্ৰুপে ফিরতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁকে ফেরানো নিয়ে এখনও কিছু জানাননি সুকান্ত। সুকান্ত ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘শুধু অম্বিকা নন, সবাইকেই আবার গ্ৰুপে ফেরানো হবে। তাঁরা আমাদেরই বিধায়ক। কোনও বিষয় নিয়ে একটু হতাশ হয়েছেন। আমরা আলোচনা করছি।’’