—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণ বিল পাশ করলেও রাজ্যে প্রার্থী তালিকায় এত কম মহিলা প্রার্থী কেন! নির্বাচনের পরে রাজ্য বিজেপির দল এবং শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের বৈঠকে সোমবার এই প্রশ্ন উঠল। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পদাধিকারীদের মতামত জানতে এ দিন বিধাননগরে দলের নয়া কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্ড প্রমুখ। সূত্রের খবর, সুকান্ত বলেছেন, দলকে আত্মনির্ভর হতে হবে। দিল্লির ভরসায় না থেকে বুথে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। ইডি-সিবিআই গ্রেফতার করবে আর সরকার পড়ে যাবে, এই ভাবনা ভুল। সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যের যে ১৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি ৪০% ভোট পেয়েছে, সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে ভিত্তি করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন মহিলা-সহ ২৯ জন সাংসদ জেতার জন্য দলের ‘দ্বিচারিতা’কে দায়ী করেছেন প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল। বৈঠকে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার সংগঠন ও প্রার্থীর ‘সমন্বয়ে’র অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, জেলা দল তাঁর সঙ্গে ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণ করেছে। যার জেরে প্রতি মুহূর্তে প্রচারে অসুবিধা হয়েছে। জেলা সভাপতি সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ‘সমন্বয়ে’র অভাব নিয়ে সরব হয়েছেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।