‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’ নিয়ে সরব শুভেন্দু। ফাইল চিত্র
রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া হতে শুরু করেছেন বলে বুধবার দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২ মে-র পরে যে ভাবে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তার উল্টোটা হচ্ছে এখন। তৃণমূলের নেতা আর হার্মাদরা ঘড়ছাড়া হতে শুরু করেছেন।’’
ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের উপরে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে শুরু করে বিজেপি। দাবি করা হয়, খুন, ধর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতা, কর্মীদের ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। এই নিয়ে রাজনৈতিক আন্দলোনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও নামে বিজেপি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর তদন্তকারীরা ভোটের পরে কারা আক্রান্ত তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা ফল ভুগতে হবে বলে ইঙ্গিত দেন শুভেন্দু। এই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘আমরা যে অভিযোগ বারবার তুলছি সেটাই সত্যি প্রমাণিত হল। বিজেপি সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এতে খুব একটা সুবিধা হবে না।’’ দলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘কোনও রাজনীতিক এমন কথা বললে তার দীনতা প্রকাশ পায়। কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তৃণমূলকে ঘরছাড়া করার কথা বলা মানে এটা তাঁদের শেষের শুরু।’’
আগেই তৃণমূলে ফিরেছেন বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। সদ্যই দুই বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিশ্বজিৎ দাস দলবদল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যে কিছুটা শঙ্কিত তা স্পষ্ট হয়েছে বুধবার। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য নেতৃত্ব। আরও বিধায়ক কি শাসক শিবিরে চলে যেতে পারে? সাংবাদিক বৈঠকে এমন প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আর ক’টা দিন যাক। খুব তাড়াতাড়ি এমন অবস্থা হবে যে, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগের মতো বিজেপি অফিসের সামনে যোগদানের লাইন পড়ে যাবে।’’