পুলিশ দিবসে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতি। ফাইল চিত্র
পুলিশ দিবসে ‘বিতর্ক’ তৈরি হল রাজ্যে। পুলিশের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে বুধবার টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর পানাগড়ে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘কেউ কেউ টুইট করে ব্যঙ্গোক্তি করেছেন। তাঁরা শুধরে নেবেন। ভাল কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু ভুল হয়। তা বলে এটা নিয়ে গোটা বাহিনীকে হতাশ করার কিছু নেই। যাঁরা এ সব করছেন তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এটা আশা করি।’’
বুধবার সকালে ধনখড় বা শুভেন্দু পুলিশের কোনও নিন্দা না করলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে সতর্ক করেছেন। ধনখড় লেখেন, গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্যই পুলিশের ভূমিকা রাজনীতি-নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, পুলিশ যেন কাজে যোগ দেওয়ার সময়কার শপথ বাক্যের কথা ভুলে না যায়। এরই প্রেক্ষিতে মমতা আক্রমণ করেন। তবে কারও নাম করেননি তিনি। পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশ এবং সারা পৃথিবীর পুলিশকে অভিনন্দন। সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসক এবং রাজনীতিকদের ছুটি নেই। রাত কি ভোর ডাক পড়লেই যেতে হয়।’’
পরে আবার এর জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। বিজেপি-র রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আক্রমণের ভঙ্গিতেই বলেন, ‘‘পুলিশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে ব্যবহার করেন তা সবার জানা। নিজের বাড়ির কাজ থেকে ভাইপোর হয়ে টাকা তোলা পর্যন্ত, সব করান। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যাঁরা সুষ্ঠু ভোটের জন্য দায়িত্ব পালন করেন সেই অফিসারদের শপথ নিয়েই কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠিয়েছেন। এর চেয়ে বড় উদাহরণ হয় না।’’ এখানেই না থেমে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করা হয়েছে। নিজেকে ও দলকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে লাগান মমতা।’’
পুলিশ অফিসারদের রদবদল নিয়েও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘সিবিআই-এ রদবদলের জন্য তিন জনের কমিটি রয়েছে। আর বাংলায় সব পোস্টিংই ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৈরি হয়। কালীঘাট থেকে নিয়ে আসেন মাননীয়। আর পুলিশ আধিকারিকরা ঘোষণা করেন।’’ রাজ্যে ‘পুলিশ সিকিউরিটি কমিশন’ গঠনের দাবিও তুলেছেন তিনি।