নন্দীগ্রাম হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র
‘‘পুলিশ আগে ছিল রাজ্য সরকারের দলদাস, আর এখন হয়েছে ক্রীতদাস।’’ তৃণমূল দল এবং সরকারের পর এ বার পুলিশ-প্রশাসনকেও আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বজরং কমিটির পুজোয় আসার পথে কয়েক জন বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁদের দেখতে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বজরং কমিটির পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে পুজো দিতে আসার পথে দলীয় কর্মী সমর্থকদের একটি গাড়িতে হামলা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুরের ভুতা মোড়ের ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহতদের দেখতে বুধবার নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান শুভেন্দু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শুভেন্দু জানান, মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অথচ তালিকায় থাকা দুষ্কৃতীদের না ধরে অন্য ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পুলিশ সেটিং হয়ে গিয়েছে। যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের পুলিশ ধরছে না। আমাদের দাবি, ১৭ জনকেই গ্রেফতার করতে হবে।’’
মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার এক ঘণ্টার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন বিজেপি নেতারা। আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষকে কষ্ট না দিয়ে নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল হয়ে নন্দীগ্রামের সর্বত্র প্রতিবাদ আন্দোলন করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম ভারতের বাইরে নয়। এখানেও প্রত্যেকের নিজের নিজের রাজনৈতিক, ধর্মীয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। এতে বাধা দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে জমি রক্ষার আন্দোলনের মতোই যুবক যুবতীদের নিয়ে লড়ব।’’
আরও পড়ুন: দলে নেতা নিতে নীতির চেয়ে কৌশলে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি
আরও পড়ুন: ৩৫৬ বনাম ১৫৬, ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার তৃণমূলের
নন্দীগ্রামের আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু। সেই কথা স্মরণ করিয়ে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ২০০৭ সাল থেকে একটা বড় শক্তির সঙ্গে লড়াই করেছিলাম। তাদের সঙ্গেও টাকা ছিল, পুলিশ ছিল, লোকবল ছিল, হার্মাদ ছিল, অস্ত্র ছিল। কিন্তু তারাও টিকতে পারেনি।’’ এর পরেই তাঁর ইঙ্গিতবহ মন্তব্য, ‘‘কেউ কেউ মানুষের কথা বোধ হয় বুঝতে পারছেন না।’’