Death

Rampurhat Clash: বাম ও বিজেপি-র একাধিক প্রতিনিধিদল রামপুরহাটে, অখ্যাত বগটুই রাজনৈতিক উত্তাপের কেন্দ্রে

মেরেকেটে কয়েকশো বাড়ি। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের বাস। মঙ্গলবার সকাল থেকে ইতিপূর্বে ‘অশ্রুত’ সেই বগটুই গ্রাম উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৮:১৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাতারাতি শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূমের রামপুরহাটের অখ্যাত বগটুই গ্রাম। সেই গ্রামেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুন এবং তার পর বেশ কয়েক জনের হত্যার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বুধবার সেখানে যাওয়ার কথা বাম এবং বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের। পাশাপাশি, শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বুধবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবিরও।

Advertisement

রাজ্য প্রশাসন তো বটেই, বিরোধীদেরও যাবতীয় নজর এখন বগটুইয়ে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি এবং বাম— দুই শিবিরই। বুধবার বগটুই যাওয়ার কথা বিজেপি-র পরিষদীয় দলের। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাদের কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, একই দিনে বিজেপি-র সর্বভারতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে আরও একটি প্রতিনিধি দলের ওই গ্রামে যেতে পারে। বুধবারই বগটুইতে পা রাখতে চলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে রাতেই জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে‌ন। জানা গিয়েছে সকাল সকালই বগটুই পৌঁছতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বগটুই গ্রামে বসেছে পুলিশ পিকেট। গোটা গ্রাম এখন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। সেই ঘেরাটোপ এড়িয়ে বিজেপি এবং বামেদের প্রতিনিধি দল ওই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে দু’পক্ষেরই। একইসঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহও তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সতর্ক রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও।

Advertisement

রামপুরহাট-কাণ্ডের জেরে বুধবারও তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বিধানসভাও। তবে বিজেপি-র গোটা পরিষদীয় দল বগটুইয়ের উদ্দেশে রওনা দিলে সেই সম্ভাবনা অবশ্য প্রায় থাকবেই না। সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বগটুইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে পারেন। রামপুরহাট-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে পথে নামার কথা বিজেপি-র। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে বুধবারই রাজ্য জুড়ে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার কতা তাদের। বুধবার বগটুই গ্রামে যেতে পারেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।

রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা যে এখনই কমছে না তার ইঙ্গিত মিলেছে মঙ্গলবারই। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, তাই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন— এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বাংলার কয়েক জন সাংসদ। সেখান থেকে বেরিয়ে সুকান্ত দাবি করেছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বগটুই-কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিনিধি দল পাঠাবে বলেও দাবি করেছেন সুকান্ত। তবে মন্ত্রক সূত্রে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

অন্য দিকে, আগামী শুক্রবার পাঁচ সদস্যের আরও একটি প্রতিনিধি দল বগটুই গ্রামে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement