Suvendu Adhikari

সারদাকর্তার চিঠির তদন্তে সিবিআই, স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘এ বার মজা বুঝিয়ে দেব আমি’

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা ‘বিতর্কিত’ চিঠি নিয়ে নতুন রাজনৈতিক লড়াই শুরু। আদালত সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতেই কুণালকে আক্রমণ শুভেন্দুর। পাল্টা কুণালের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৮:৫৪
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা নিয়ে সারদাকর্তার লেখা ‘বিতর্কিত’ চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ওই চিঠি নিয়ে তদন্তের দাবিতে পিটিশন করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। বুধবার শুনানির পরে বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আগেই এই চিঠি সারদাকর্তাকে দিয়ে লেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগতও জানিয়েছেন শুভেন্দু। সঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমার কাজটার সুবিধা হয়ে গেল। এই চিঠিটা কাকে দিয়ে লিখিয়েছেন সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে। আমি চেয়েছিলাম তো। চিঠিটা কে লিখিয়েছিল বেরিয়ে যাবে। মজাটা বুঝিয়ে দেব আমি।’’

Advertisement

আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেই কুণাল বলেন, ‘‘সুদীপ্ত সেন যে কাঁথি পুরসভাকে ব‌্যাঙ্ক ড্রাফট দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে। আর শুভেন্দু নিজে যথেষ্ট প্রভাবশালী। উনি শুধু বিরোধী দলনেতাই নন, আগাম বলে দেন কার বাড়িতে কবে সিবিআই তদন্ত করতে যাবে। উনি সাংসদ ছিলেন, এখন কেন্দ্রের শাসকদলের নেতা, তাই তদন্তে প্রভাব খাটাতেই পারেন। আমাদের একটাই দাবি, রাজ‌্য পুলিশ শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করলে সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত চলবে।’’

শুভেন্দুও কুণালকে আক্রমণ করেছেন। তবে নামোল্লেখ করেননি। শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘খুব সুন্দর। আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই চিঠিটা লিখিয়েছে সাড়ে ৩ বছর জেল খাটা, নর্দমার কীট বলি যাঁকে। কবে লিখিয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে আমি জানি।’’ এখানেই না থেমে কুণালকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি তো আগেই সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিসন্ধি।’’

Advertisement

কুণাল পরে টুইটে শুভেন্দুর নাম না করেই লেখেন, ওই চিঠি কার লেখা সেই প্রশ্নের চেয়ে বড় হল কাঁথি পুরসভায় ব্যাঙ্কড্রাফ্ট পৌঁছেছিল কি না। সিবিআইয়ের কাঁথি পুরসভায় যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বাসিন্দা সুদীপ্ত প্রিজনার্স পিটিশনে ওয়েলফেয়ার অফিসারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে, কী ভাবে, কত টাকা আদায় করেছেন, তার বিস্তারিত উল্লেখও করেন। কাঁথিতে একটা বহুতল নির্মাণের জন্য পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া সত্ত্বেও প্ল্যান পাশ করানো হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে চিঠিতে। যদিও বিজেপি তথা শুভেন্দুর তরফে বরাবরই রাজনৈতিক কারণে চিঠিটি লেখানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement