ডিসেম্বরের প্রথম দিনে রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তের। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরেই তৃণমূল সরকারের পতন শুরু। এমনটা অনেক দিন ধরেই বলে চলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে সেই ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বরের প্রথম দিনে রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তের। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর।
গত বুধবার আনন্দের শপথে আমন্ত্রণ পেলেও জাননি শুভেন্দু ও সুকান্ত। অভিযোগ, আসন বণ্টনে তাঁদের অসম্মান করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদদের ডাকা হলেও বিজেপির কোনও সাংসদ কেন আমন্ত্রণ পাননি সে প্রশ্নও তুলেছিলেন সুকান্ত। সেই দিন বিকেলে আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। সেই সময়ে আনন্দের হাতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে আসেন। এ বার সুকান্তও যাচ্ছেন। প্রথম সাক্ষাতে রাজ্যপালকে তিনিও বেশ কিছু রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। সুকান্ত অবশ্য বলেন, ‘‘প্রথম বার নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কিছু বিষয় তো জানাতেই হবে। দেখা হওয়ার পরে বলব, কী কী নিয়ে কথা হয়েছে।’’
সুকান্ত নিজে মুখে বলতে না চাইলেও বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সবিস্তার রিপোর্ট নিয়ে যাবেন সুকান্ত। সেই রিপোর্টের মধ্যে থাকবে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় রাজভবনে থাকার সময়ের পরিস্থিতির কথা। কবে শাসক দলের কোন নেতা কী ভাবে সাংবিধানিক প্রধানকে আক্রমণ করেছিলেন তার সবিস্তার রিপোর্টও আনন্দকে দিতে পারেন সুকান্ত। সেই সঙ্গে থাকতে পারে রাজ্যে বিজেপিকর্মীদের উপরে অত্যাচারের সবিস্তার তথ্য এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি।
বিজেপি সূত্রে জানা আরও জানা গিয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত একটি আলাদা রিপোর্টও আনন্দের হাতে তুলে দিতে পারেন সুকান্ত। সেই রিপোর্টে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যেমন থাকবে, তেমনই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখও থাকবে।