রবিবার মেদিনীপুরে পাশাপাশি দিলীপ ও সুকান্ত। নিজস্ব চিত্র
সামনাসামনি কোনও লড়াই নেই। পাশাপাশি বসে বৈঠকও করলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই বৈঠক শেষেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপকে জবাব দিলেন সুকান্ত। আর তা শোনার পরে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে সুর বদলালেন দিলীপ। সাক্ষী হল দিলীপের লোকসভা আসন মেদিনীপুর। রবিবার মেদিনীপুর শহরে বিজেপির তিন সাংগঠনিক জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও ঘাটালের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ও সুকান্ত।
আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে রাজ্য নেতৃত্বকে ‘অপরিণত’ বলে আক্রমণ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই আবহেই ‘সুকান্তর অভিজ্ঞতা কম’ বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। সঙ্গে সঙ্গে কোনও উত্তরই দিতে চাননি সুকান্ত। তবে রবিবার মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘‘শুরুতেই কারও অভিজ্ঞতা থাকে না। আমি যখন রাজ্য সভাপতি হয়েছি তখন আড়াই বছর সাংসদ থাকার অভিজ্ঞতা ছিল আর দিলীপ ঘোষ যখন সভাপতি হন তখন ছ’মাস, এক বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।’’
সুকান্তর জবাব নিয়ে কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এখন রাজ্য বিজেপি দু’ভাগ। সুকান্ত বিজেপি আর দিলীপ বিজেপি। দুই অংশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।’’ দিলীপ অবশ্য আর ‘অভিজ্ঞতা’ লড়াই টানতে চাইছেন না। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি উল্টে দেশের অন্য রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করেন। দিলীপ বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গেই রয়েছি। পাশাপাশিই রয়েছি। আমরা মাত্র ৪২ বছর বয়সের একজনকে রাজ্য সভাপতি করেছি। যে দলের এতজন সাংসদ, বিধায়ক রয়েছেন সেই দলে এত কম বয়সের কাউকে সভাপতি করতে দেখা যায় না। অন্য দলে তো বুড়ো-হাবড়াদের সভাপতি করা হয়।’’