Sukanta Majumder Attacks Abhishek Banerjee

অভিষেক-যাত্রায় ‘ব্যালট বিশৃঙ্খলা’ মঙ্গলবারও, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা বিজেপির সুকান্তের

অভিষেকের নবজাগরণ যাত্রা শুরুর দিন থেকেই ব্যালট বিশৃঙ্খলা তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে চলেছে। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। এর পরেই ধর্মতলায় দলের সভা থেকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ২০:০৬
Share:

সমাধানও বললেন সুকান্ত। পাল্টা তৃণমূলের। — ফাইল চিত্র।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার পিছু নিয়েছে ব্যালট বিশৃঙ্খলা। কোচবিহার থেকে শুরু করা যাত্রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা করেন অভিষেক। পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে কর্মী-সমর্থকদের সুবিধা করে দিতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। যদিও দলের দাবি, কর্মীদের উৎসাহের জন্যই এমনটা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার তৃণমূলের কর্মীরাই ব্যালট ‘লুট’ করেছেন দাবি করে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ‘‘জীবন বিজ্ঞানের প্রতিবর্ত তত্ত্বের কারণেই এই গোলমাল।’’

Advertisement

গত ২৫ এপ্রিল তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেন অভিষেক। সেই দিনই কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল ব্যালট নিয়ে। এর পরে জলপাইগুড়ি জেলাতেও একই ছবি দেখা যায়। পরে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটাভুটি পর্বে গোলমাল হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলে তুমুল হাতাহাতি। প্রার্থী বাছাই নিয়ে রবিবার হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে মারপিট থামাতে নামাতে হয় র‍্যাফ। মঙ্গলবার হরিরামপুরেও একই ঘটনা। অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা।

বাবুঘাটে তর্পণ বিজেপির। — নিজস্ব চিত্র।

গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল ২০২১ সালের ২ মে। তখন থেকে রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা শাসকের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন অভিযোগে মঙ্গলবার ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। সেখানে দলের সাংসদ, বিধায়করা হাজির ছিলেন। সভা শেষে সকলে মিলে বাবুঘাটে দলের মৃত কর্মীদের ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে তর্পণ করেন। তার আগে সভায় বিরোধী দলনেতা ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলে গোটা বক্তৃতাতেই মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। আর সুকান্তের লক্ষ্য ছিলেন অভিষেক। সেই আক্রমণের মধ্যেই সুকান্ত বলেন, ‘‘জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পরে ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময়ে কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদের একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুট করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।’’

Advertisement

তৃণমূল কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পারে তা নিয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেকবাবুকে বলব, দু’জন কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মতো পোশাক পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখুন। তবে আর ব্যালট বা ব্যালট বাক্স লুট হবে না। তৃণমূলের কর্মীরা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই ভয় পায়।’’ সুকান্তের এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘যাঁর আয় রয়েছে, তাঁকেই আয়কর দিতে হয়। তৃণমূলে নেতা, কর্মী বেশি। তাই একটি আসনের জন্য অনেকে প্রার্থী হতে চান। আর বিজেপির তো কমিটি বানাতেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিসড কল চাইতে হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement