বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে নিরপেক্ষ না হলে পুলিশকে ‘পদপিষ্ট’ হতে হবে বলে হুঙ্কার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘পাশে বসে খেলা দেখুন। খেলার মাঝখানে আসবেন না। তা হলে পদপিষ্ট হবেন।’’ শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই হুঙ্কারে ‘পরাজিতের আর্তনাদ’ দেখছে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক- বিরোধী তরজা আগেই শুরু হয়েছে। এ দিন তাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মাথাভাঙায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। কোচবিহারের জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে। কোচবিহার জেলা পরিষদ বিজেপির নামে লেখা হয়েছে।’’ সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের দিকে ইঙ্গিত করে শাসকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা, ‘‘কী ভাবে খেলতে হয়, আমরা জানি।’’ সেই সূত্রেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা কোচবিহারের তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘আমরাও তো পুলিশের নিরপেক্ষতার কথা বলি। পুলিশ রেফারি হয়ে থাকুক, কোনও আপত্তি নেই। তবে পুলিশ রেফারি হিসেবে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও লাইন্সম্যান হিসেবে থাকতে হবে।’’ তার পরই বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তখন বোঝা যাবে সুকান্ত মজুমদারেরা কেমন খেলতে পারেন।’’
মাথাভাঙার সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দল ভাঙানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণকে তৃণমূল তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সুশীলদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপির পুরনো কর্মী। প্রয়োজন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলে যাবেন।’’ সুকান্তের এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাঁরা রাখছেন। কাউকে প্রস্তাব দেওয়ার আর দরকার হচ্ছে না।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তরজায় বিজেপি ও তৃণমূলকে একযোগে নিশানা করেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি বা তৃণমূলের নেতারা হিংসা চাইলেও মানুষ তা করবেন না। ভোট লুঠ হলে মানুষ প্রতিরোধ করবেন।’’