BJP

Sayantan Basu: কথা হলেও ‘পাকা কথা’ হল না, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকই সার পদ্মের সায়ন্তনের

বুধবার ঘোষিত রাজ্য বিজেপি-র নতুন কমিটিতে জায়গা না-পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সায়ন্তন বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:১২
Share:

জল্পনা ওড়ালেন সায়ন্তন। ফাইল চিত্র

রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পাওয়া বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু কি তবে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন? বুধবার রাতে সায়ন্তনের বাড়িতে হওয়া তৃণমূলের দুই নেতার বৈঠক নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনার জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে যেটুকু জানা গিয়েছে, তাতে তৃণমূলের এক বিধায়ক ও এক প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে কথা হলেও ‘পাকা কথা’ হয়নি সায়ন্তনের। আলোচনার স্তরেই রয়ে গিয়েছে নতুন পদক্ষেপের ভাবনা। বুধবার রাতের বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও সায়ন্তনের দাবি, ওই সাক্ষাৎ ছিলে একেবারেই ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপি-র ‘বিক্ষুব্ধ’ ওই নেতা।

Advertisement

বুধবার বিকেলে রাজ্য বিজেপি-র নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরনো কমিটির অনেকেই সেখানে জায়গা পাননি। সেই জায়গা না-পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সায়ন্তন। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজকমল পাঠকরা নতুন কমিটিতে না থাকলেও আগে তাঁরা দলে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে (সহ-সভাপতি) ছিলেন। কিন্তু বিজেপি-তে রাজ্য সভাপতির পরেই গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে থাকা সায়ন্তন, সঞ্জয় সিংহ এবং রথীন বসু বাদ গিয়েছেন। বাকি দু’জনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও সায়ন্তনের নাম সুকান্ত মজুমদার ঘোষিত তালিকার কোথাওই নেই। এর পরেই সায়ন্তন বিজেপি-র একের পর এক সাংগঠনিক হোয়াটস্‌অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। এমনকি, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের গ্রুপটিও ছেড়ে দেন। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সায়ন্তনের বিধাননগরের বাড়িতে শাসক দল তৃণমূলের দুই নেতাকে দেখা যায়। দীর্ঘ ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। এর পরেই তৈরি হয় জল্পনা।

বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে সায়ন্তন বলেন, ‘‘প্রথমে রাজ্য সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি টানা ছ’বছর রাজ্য কমিটিতে ছিলাম। এমন তো ভাবার কারণ নেই যে, চিরকাল আমিই থেকে যাব। নতুনদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলে আমিই সাধারণ সম্পাদক পদে আমাকে আর না-রাখার জন্য নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। আমার অনুরোধ রক্ষা হয়েছে।’’ তিনি কি দলবদলের কথা ভাবছেন? এর জবাবে সায়ন্তন বলেন, ‘‘যে বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে, সেটা নিছকই সৌজন্যমূলক। আর আমি আদর্শগত ভাবে বিজেপি করি, পদের জন্য নয়। তাই দল আমাকে এখন যে দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করব। ক্ষোভের কিছু নেই। যে গ্রুপগুলি ছেড়েছি সেগুলিতে আমি পদাধিকার বলে ছিলেন। পদে না থাকলে তো গ্রুপ ছেড়ে দেওয়াটাই নৈতিকতার পরিচয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement