তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, এমনটাই দাবি করলেন সৌগত রায়। ফাইল চিত্র।
তৃণমূল যোগ দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে এই দাবি করলেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, জয়প্রকাশ মজুমদাররা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপের তৃণমূলে যোগদানের কথা শোনা গেল কোনও প্রথম সারির তৃণমূল নেতার মুখে। তবে সৌগতের দাবি উড়িয়ে পাল্টা তাঁকে ‘জোকার’ বলে আক্রমণ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
সৌগত বলেন, ‘‘আমি শুনেছিলাম দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে আসতে চান। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। যা আমার কানে এসেছিল। তবে দিলীপের সঙ্গে কখনও এ বিষয়ে আমার সরাসরি কথা হয়নি।’’ ভোটের আগে ও পরে এ বিষয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরে আলোচনা হলেও, দিলীপের দলবদল সম্ভব হয়নি। কিন্তু তৎকালীন বিজেপি সভাপতি কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন না? দমদমের প্রবীণ সাংসদের দাবি, ‘‘এ বিষয়ে শেষ পর্যন্ত দল কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায়, দিলীপকে দলে নেওয়া যায়নি।’’
প্রসঙ্গত, যে সময়ে দিলীপের তৃণমূলে যোগদানের কথা বলছেন সৌগত, সেই সময় দিলীপই ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ২০১৫ সালে দিলীপের বাংলার রাজনীতিতে আগমন। প্রথমে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। পরে রাহুল সিন্হাকে সরিয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্য সভাপতি পদে আনা হয় দিলীপকে। ২০১৬ সালে প্রথম বার খড়্গপুর সদর আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা থেকে সাংসদ হন তিনি। রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপের উত্থান কার্যত উল্কার মতো। বর্তমানে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। বিধানসভা ভোটের পরে তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে সভাপতি করেছে বিজেপি।
এ বার সেই দিলীপের তৃণমূলে যোগদানের কথা বলে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন সৌগত। এর জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘এটাকে বলে বুড়ো বয়সে ভীমরতি। ওর কথা শুনলে কুকুরও হাসবে। নিজেকে জোকারে পরিণত করেছেন। দুর্নীতি ধরা পড়ার ভয়ে নেত্রীর মাথার ঠিক নেই, তাঁর অনুগামীদের অবস্থা আরও খারাপ। ভুলভাল বলে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন সৌগত।’’