মেদিনীপুরে সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরে রবিবার রাতে দলবদলের প্রবণতা নিয়ে টুইটার হ্যান্ডেলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুর শহরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরকে খুঁজে বার করার কাজ চলছে। খুঁজে পেলে দল থেকে বার করে দেওয়া হবে।’’
দিলীপের সঙ্গেই মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে আর সেখানেই রাজীবের ‘স্বপ্নভঙ্গ’ দলত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘উনি (রাজীব) স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনিই বলতে পারবেন, তাঁর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, না কি তিনি অন্য কোনও স্বপ্ন দেখেছিলেন।’’
টুইটারে রবিবার রাতে দিলীপ লিখেছিলেন, ‘অনেক দালাল নির্বাচনের আগে আমাদের দলে ঢুকে গিয়েছিলেন। জন গিয়েছেন, কিছু এখন রয়েছেন। তাঁরা উৎপাত করছেন। সবাইকে বাদ দেব। এরা চায় না বিজেপি শক্তিশালী হোক।’ সোমবার মেদিনীপুরে তিনি বলেন, ‘‘গন্ডগোল করছেন, পার্টির মধ্যে দুষ্প্রচার করে কর্মীদের মধ্যে মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাঁদের আমরা খুঁজছি। যথাসময়ে আমরা বাদ দেব।’’
দিলীপের অভিযোগ, তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিজেপি-র কিছু লোকও প্রভাবিত হয়েছেন এবং নির্বাচনের সময়ে হয়তো অন্য পার্টির হয়ে কাজ করেছেন। তার ফলে বিজেপি-র ক্ষতি হয়েছে।
রাজীবকে কটাক্ষ করে সুকান্ত সোমবার বলেন, ‘‘উনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলে ডেকেছেন। তো ওঁকে বলুন পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতাভুক্ত করতে, তা হলেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম কমে যাবে।’’ পাশাপাশি, রাজ্যে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবিও জানান তিনি। দাবি করেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পুর নির্বাচন হলে বিজেপি ভাল ফল করবে।