এই ফ্লেক্স নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পায়ের নীচে বাংলার মনীষীদের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স। তাতে আবার সৌজন্যে নাম বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। এই নিয়ে মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটের পতিরাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সুকান্ত মজুমদারের নামে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লেক্স ও কাটআউট দেখা যায়। তাতে প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাবয়ব ছবি এবং নীচে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ, বিবেকানন্দ ও ক্ষুদিরাম বসুর ছবি। এই ফ্লেক্সের ছবিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
এই কথা জানার পরে সুকান্ত নিজে পতিরাম এলাকায় যান। তাঁর এবং বিজেপির দাবি, এটা তাঁদের কাজ নয়। কোনও দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ দাবিতে সুকান্তের নেতৃত্বে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। ততক্ষণে জানা যায়, এমন ছবি শুধু পতিরামে নয়, বোল্লা-সহ একাধিক এলাকায় দেখা গিয়েছে। সুকান্তের দাবি, পুরোটাই বিজেপিকে অপদস্ত করতে করা হয়েছে। শেষে পতিরাম পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকে। তা অস্বীকার করে তৃণমূলের বোল্লা অঞ্চল সভাপতি প্রতাপচন্দ্র শীল বলেন, ‘‘এমন কুরুচিপূর্ণ কাজ তৃণমূল করে না। প্রচারের উদ্দেশ্যেই বিজেপি এই কাজ করেছে। তা না হলে খবর পেয়ে কী করে সাতসকালে বিজেপি সাংসদ পতিরাম এলাকায় ছুটে এলেন?’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবসে এক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে দূর্ভোগের মধ্যে ফেললেন ওঁরা।’’ বালুরঘাটের মতো নাটক ও সংস্কৃতির শহরও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। বালুরঘাটের নাট্যকর্মী জিষ্ণু নিয়োগী বলেন, ‘‘বাংলার মনীষীদের নিয়ে রাজনৈতিক ধান্ধাবাজি বন্ধ হোক।’’